গুগল অ্যাডসেন্স(AdSense) পাওয়ার সহজ উপায়।

গুগল অ্যাডসেন্স(AdSense) পাওয়ার সহজ উপায়।

আজকে আমরা জানবো, গুগল অ্যাডসেন্স(AdSense) পাওয়ার সহজ উপায়। সাধারণত এখনো পর্যন্ত অনলাইনে ইনকাম করার সেরা উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ব্লগিং ওয়েবসাইট। কেননা ব্লগ বা একটি ওয়েবসাইট আপনার প্যাসিভ ইনকাম হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

আর আপনি যদি সেই ব্লগ থেকে ইনকাম করার কথা চিন্তা করেন তাহলে প্রথমে যে উপায়টি কথা আপনার মাথায় আসবে সেটি হচ্ছে গুগল এডসেন্স। আবার অনেককে এমন ওয়েবসাইট মালিক রয়েছেন যারা মনে করে যাদের ওয়েবসাইটে গুগোল অ্যাডসেন্সে(Google Adsense) অ্যাপ্রভাল নেই তাদের ওয়েবসাইট মূল্যহীন। 

গুগল অ্যাডসেন্স(AdSense)
Google AdSence



বিষয়টি কিন্তু একেবারে সেইরকম না -বিষয়টা হলো অনেকটা এই রকম একটি ওয়েবসাইট থেকে আপনাকে ইনকাম করতে গেলে যতগুলো উপায় অবলম্বন করতে হয় তার মধ্যে সবথেকে সহজ একটি উপায় হচ্ছে গুগল এডসেন্স থেকে আয়।


কিন্তু অন্যান্য আরো অনেক এড নেটওয়ার্ক রয়েছে আপনারা চাইলে সেসব এড নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারেন গুগল এডসেন্স(Adsense) বাদ দিয়ে। 


তবে আমার মনে হয় গুগল এডসেন্স কে বেশি প্রাধান্য দেয়া উচিত কেননা এটি একটি খুবই পরিচিত কোম্পানি এবং এটি সহজেই পেমেন্ট করে থাকে। 


একজন ইউটিউবার যখন ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করে সেখান থেকে মনিটাইজ এর মাধ্যমে ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন।


যদিও ইউটিউব ও ওয়েবসাইট বা ব্লগের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে তবুও আমি বলব গুগলের ইউটিউব থেকে ওয়েবসাইট এবং ব্লগিং হচ্ছে অনেক সহজ বা সহজলভ্য।কেননা ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করতে আপনাকে অনেক সময় ব্যয় করতে হয় এবং বিভিন্ন খরচ হয়ে থাকে এখানে।


কিন্তু ওয়েবসাইটে সামান্য কিছু খরচ হয়ে থাকে তাছাড়া এখানে আপনার মেধা এবং পরিশ্রমই যথেষ্ট আয় করার জন্য। আর আপনার ওয়েবসাইট থেকে যদি দীর্ঘস্থায়ীভাবে আয় করতে হয় তাহলে আপনাকে গুগল এডসেন্সের শরণাপন্ন হতে হবে।


আজকে আমি এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে আলোচনা করব ওয়েবসাইটে দ্রুত গুগল অ্যাডসেন্স(Google Adsense) পাওয়ার উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সহজে গুগল অ্যাডসেন্স(Google Adsense) পাওয়ার কয়েকটি উপায়ঃ-


Google AdSense পাওয়ার উপায় 


বর্তমানে গুগল এডসেন্স আমাদের কাছে এতটাই কঠিন হয়ে গিয়েছে যে আমরা সহজ ব্যাপার টাকে নিজেরাই কঠিন করে ফেলেছি। 


কেননা গুগল এডসেন্সের যে প্রাইভেসিও টার্মস এন্ড কন্ডিশন গুলো রয়েছে সেগুলো যদি আমরা পুরোপুরি ভাবে পালন করতাম তাহলে আমাদের গুগল এডসেন্স পেতে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হতো না। 


সাধারণত আমরা যারা ইউজার রয়েছি যারা গুগল এডসেন্সের আশায় বিভিন্ন ধরনের ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকেন তাদের  কিছু অসতর্কতার কারণে  গুগল এডসেন্স পেতে অনেক সমস্যা হচ্ছে।


সহজে গুগল অ্যাডসেন্স(AdSense) পাওয়ার সবচেয়ে সহজ কয়েকটি উপায় হল-


টপ লেভেল ডোমেইন নিতে হবে 


সাধারণত অনেকে এমন ইউজার রয়েছেন যারা ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগ তৈরি করতে চাচ্ছেন কিন্তু সব সময় চিন্তা করে থাকেন কোথায় ফ্রী হস্টিং বা ফ্রী ডোমেইন পাওয়া যাচ্ছে। 


কিন্তু আমার মতে আপনি যদি ব্লগিং করেন ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে অবশ্যই একটি টপ-লেভেল ডোমেইন আপনাকে নিতে হবে। কেননা ফ্রি কোন কিছুই ভালো হয়না আর ফ্রি কোন ডোমেইনে  আপনি গুগোল অ্যাডসেন্সে(Adsense) অ্যাপ্রভাল পাবেন না শুধুমাত্র ব্লগার বা ব্লগস্পটে ছাড়া। 


ব্লগার এবং ব্লগস্পট এর দুটি আসলে কি জিনিস এবং এটি হলো সাধারণত গুগোল এর প্রোডাক্ট। যার মাধ্যমে আপনি গুগল ব্লগার এর মাধ্যমে ফ্রি একটি ব্লগস্পট নিয়েও গুগল অ্যাডসেন্স(Google Adsense) অ্যাপ্রুভাল পেতে পারেন। 


তাই আমার পরামর্শ হলো আপনি যদি ব্লগ নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে অবশ্যই একটি কাস্টম ডোমেইন টপ লেভেল ডোমেইন ব্যবহার করুন। তাহলে আপনি এর মাধ্যমে দ্রুত গুগল অ্যাডসেন্স(Google Adsense) অ্যাপ্রুভাল পেয়ে যাবেন এপ্লাই করলে। 



গুগল অ্যাডসেন্স(Google AdSense) পাওয়ার জন্য যে চারটি অত্যাবশ্যকীয় পেজ অবশ্যই থাকতে হবে 


আপনি যদি গুগোল অ্যাডসেন্সে(Adsense) আপনার ব্লগকে সাবমিট করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট কিছু পেজ থাকতে হবে।


কেননা গুগল এডসেন্সের টার্মস এন্ড কন্ডিশন অনুযায়ী এই পেইজগুলো থাকা তারা বাধ্যতামূলক করেছে। তাই গুগোল এডসেন্সে এপ্লাই এর পূর্বে অবশ্যই এই পেইজগুলো আপনাদের তৈরি করে নিতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ পেজগুলো হলোঃ-


  1. About us
  2. Contact us
  3. Privacy and policy
  4. Terms and conditions


আপনি গুগোল অ্যাডসেন্সে(Adsense) আবেদন এর আগে আপনার ওয়েবসাইটের এই চারটি পেজ অবশ্যই তৈরি করে নেবেন। তারপর আপনি গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারেন। 



গুগল অ্যাডসেন্স(Google AdSense) পাওয়ার জন্য আর্টিকেল কপি করা থেকে বিরত থাকুন 


আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা নতুন ব্লগার রয়েছে তারা প্রথমদিকে বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা ব্লগে প্রবেশ করে তারা তাদের কনটেন্ট কিছু কপি করে নিজের আর্টিকেল তৈরি করে। তারপরে সব আর্টিকেল তারা তাদের নিজেদের ব্লগে প্রকাশ করে। 


আপনি যদি এমন করতে থাকেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের এসইও দিন দিন হারিয়ে যেতে থাকবে। আর আপনার ওয়েবসাইটের যদি পূর্বে গুগোল অ্যাডসেন্সে(Adsense) অ্যাপ্রভাল থেকে থাকে এবং আপনি যদি পরবর্তীতে কপিরাইট কনটেন্ট ব্যবহার চালিয়ে যেতে থাকেন তাহলে আপনার গুগল এডসেন্স ডিজেবল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। 


তাই অবশ্যই অন্যের ব্লগ সাইট বা ওয়েবসাইট থেকে কনটেন্ট কপি করার আগে আপনি এই জিনিসটি দুইবার ভেবে দেখুন। কেননা আপনার এডসেন্স একাউন্ট একবার যদি ব্যান্ড হয়ে যায় তাহলে আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে কোন সময়ই আর ফেরত আনতে পারবেন না। 


তাই কোন সময় অন্যের সাইট থেকে কনটেন্ট কপি করবেন না এর ফলে আপনি অ্যাডসেন্সে (Adsense) অ্যাপ্রভাল কোনদিন পাবেন না।


গুগল অ্যাডসেন্স(Google AdSense) পাওয়ার জন্য আপনার আর্টিকেলগুলো ১০০০ থেকে ১৫০০ শব্দের হতে হবে 


আমাদের মধ্যে সাধারণত অনেকেই আছেন যারা মনে করে থাকেন আজকে ডোমেইন-হোষ্টিং কিনলাম কালকে সাইট ডিজাইন করলাম এবং তার পরেরদিন এ্যাডসেন্স(Adsense) এপ্লাই করে দিলাম।


আসলে ব্লগিং এবং ওয়েবসাইট জগতটা এতটা সহজ না আপনার নতুন ওয়েবসাইটে কোনদিনই গুগোল অ্যাডসেন্স(Adsense) অ্যাপ্রভাল দিবেনা। যদি না আপনার ওয়েবসাইটে তেমন কোনো কনটেন্ট বা আর্টিকেল না থাকে।


আপনার ওয়েবসাইট গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করার আগে অবশ্যই আপনার সাইটে ২০ থেকে ২৫ টি ১০০০-১৫০০ ওয়ার্ডের হাই কোয়ালিটি  কনটেন্ট থাকতে হবে। 


গুগল অ্যাডসেন্স


গুগল অ্যাডসেন্স(Google AdSense) পাওয়ার জন্য কপিরাইট ছবি ব্যবহার করবেন না 


অনেকের গুগল অ্যাডসেন্স(Google Adsense) অ্যাপ্রুভাল না-পাওয়ার বড় একটি কারণ হলো এটি। তারা নিজেরাও জানেনা কখন তারা তাদের ওয়েবসাইটে কপিরাইট ছবি ব্যবহার করে ফেলেছেন। আর এমন হলে আপনি কোন সময়ে গুগল অ্যাডসেন্স(Adsense) অ্যাপ্রুভাল পাবেন না। 


তাই আপনি যদি কোন ওয়েবসাইট থেকে কোন ফটো ডাউনলোড করে আপনার ব্লগে ব্যবহার করেন তাহলে সেই ছবিটি অবশ্যই সুন্দর করে এডিট করে নিতে হবে। তাহলে গুগোল আপনার এই ছবিটিকে কপিরাইট ধরতে পারবেনা এবং আপনি দ্রুত গুগল অ্যাডসেন্স(Google Adsense) অ্যাপ্রুভাল পেয়ে যাবেন। 



গুগল অ্যাডসেন্স(Google AdSense) পাওয়ার জন্য ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং এসইও 


সাধারণত  অ্যাডসেন্সে(Adsense) অ্যাপ্রভাল এর ক্ষেত্রে নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগের এসইও ফ্রেন্ডলি ডিজাইন অ্যাডসেন্সে(Adsense) অ্যাপ্রভাল এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।কেননা এসইও ফ্রেন্ডলি একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট গুগোল অনেক পছন্দ করে থাকে।


গুগোল অ্যালগরিদম এবং গুগোল পেজ স্পীড যে সিস্টেম রয়েছে সেটির মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট কতটা এসইও ফ্রেন্ডলি এবং গুগল অ্যাডভার্টাইজমেন্ট আপনার ওয়েবসাইটে লোড নিতে কতটা সময় নিবে সেই বিষয়টি নির্ভর করে থাকে গুগল অ্যাডসেন্স(Google Adsense) অ্যাপ্রুভাল এর ক্ষেত্রে।


তাই আপনি যখন নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগ টি ডিজাইন করবেন তখন অবশ্যই এই বিষয়গুলো আপনি মাথায় রাখবেন। যেন আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট টি বিভিন্ন ধরনের জাভাস্ক্রিপ্ট অথবা অতিরিক্ত সিএস ব্যবহারের কারণে আপনার লোডিং স্পীড কমে না যায়।



পরিশেষে, আপনি এই সকল কাজ গুলো যদি সঠিকভাবে করতে পারেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে কোন গুগল অ্যাডসেন্স(Google Adsense) এ আবেদন করার জন্য প্রস্তুত। আপনি দেরি না করে আপনার ওয়েবসাইট থেকে গুগল এডসেন্স(Adsense) এর জন্য এপ্লাই করুন এবং আপনার ওয়েবসাইটে যদি সব ঠিকঠাক থাকে তাহলে তারা রিভিউ করে আপনার ওয়েবসাইটটি কে গুগল এডসেন্স (Adsense) অ্যাপ্রুভ করে দিবে।


আর ও পড়তে নিচের দেয়া লিঙ্কে ক্লিক করুন-


বন্ধুরা, গুগল অ্যাডসেন্স(AdSense) পাওয়ার সহজ উপায় আর্টিকেলটা আপনার উপকারে এসে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। 

আমাদের সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

1 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post