শেয়ার বাজার । পর্ব-১

শেয়ার বাজার । পর্ব-১

আপনি যদি একদম নতুন হয়ে থাকেন কিংবা শেয়ার বাজার নিয়ে বিস্তারিত জানতে চান তবে আমি বলব আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন ইনশাআল্লাহ  আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনি জানতে পারবেন-

শেয়ার বাজার

শেয়ার বাজার
শেয়ার বাজার । পর্ব-১

  • শেয়ার বাজার কি?
  • কেন শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করবেন? 
  • শেয়ার কিনতে কত টাকা লাগবে?
  • ঘরে বসে কিভাবে শেয়ার কিনবেন?
  • কি ভাবে শেয়ার কেনাবেচা করা যাবে?
  • কেমন লাভ হতে পারে?
  • কিভাবে ঝুঁকি কমাবে?
  • কতদিনের জন্য শেয়ার কিনবেন?


ইত্যাদি সকল বিষয়ে একটি আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আর্টিকেলটি পড়ার পরে যদি আপনার ভাল লাগে তবে আপনি লাইক দিবেন, সাবস্ক্রাইব করবেন এবং কোন কিছু যদি আমি বুঝাতে ব্যর্থ হই তবে কমেন্টে জানাবেন। এছাড়া কোন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানার থাকলে আমার ফেসবুক পেজে মেসেজ করবেন।


তাহলে শুরু করা যাক, প্রথমে জেনে নিব শেয়ার বাজার কি।



শেয়ার বাজার কি?


শেয়ার শব্দের সাথে বাজার শব্দটি যুক্ত থাকায় স্বাভাবিকভাবে বুঝতে পারা যাচ্ছে যে এখানে কিছু একটা কেনাবেচা করা হয়। আক্ষরিক অর্থেই শেয়ারবাজার বলতে কোন কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা কে বোঝায়।


এই বাজারে কেউ কিনতে আসে আবার কেউ বিক্রি করতে আসে। কেনাবেচা করতে পারেন পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ তাদের কোম্পানির শেয়ার বেচাকেনা করা হয়।


বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থমন্ত্রণালয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে শেয়ার বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করে।



শেয়ার বাজারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কি?


শেয়ার বাজার দুইটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে, এর প্রথম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিভিন্ন কোম্পানির ব্যবসা বাড়াতে সাধারন পাবলিকের কাছ থেকে আইপিওর মাধ্যমে টাকা নিয়ে থাকে। এতে ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় টাকার চাহিদা পূরণ হয় এবং ব্যবসা আরো সুন্দর হবে করতে পারে।


দ্বিতীয় লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সাধারণ বিনিয়োগকারীর যারা নিজ ইচ্ছায় বিনিয়োগ করতে চায় তারা তাদের পছন্দের কোম্পানির শেয়ার কিনতে পারে, এর ফলে উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারী লাভ হয় ।



শেয়ার কি এবং শেয়ার কত প্রকার?


শেয়ার সাধারণত একটি কোম্পানির মালিকানা একটি ক্ষুদ্র অংশ। যেকোনো বিনিয়োগকারীর যে কোন কোম্পানির শেয়ার কিনে সেই কোম্পানির শেয়ার হোল্ডার হতে পারে।


কোন কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ক্যাপিটাল বলে মূলত একটি কোম্পানির মূলধনের ক্ষুদ্রতম অংশ। মানে তাকে দশ টাকা হিসাব করে যে সংখ্যা পাওয়া যাবে তাকে মোট সংখ্যা বলে।


যেমন একটি কোম্পানির 24 কোটি টাকা মূলধন থাকে তাহলে 10 টাকা হিসেবে ভাগ করলে সেই কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা হবে দুই কোটি।


শেয়ার সাধারণত দুই রকম অর্ডিনারি শেয়ারপ্রেফারেন্স শেয়ার। প্রেফারেন্স শেয়ার আমাদের দেশের নেই বললেই চলে।


সম্প্রতিকালে কিছু কোম্পানির প্রেফারেন্স শেয়ার বাজারে এনেছে কিন্তু এখন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কিংবা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়নি।


বলে রাখা ভালো যে আমাদের দেশে দুটি  স্টক এক্সচেঞ্জ রয়েছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জ


স্টক এক্সচেঞ্জ কি এবং কি কাজ করে?


সরকারি বা বেসরকারি আর্থিক সামগ্রী কেনার মাধ্যম হলো স্টক এক্সচেঞ্জ। সরাসরি কোন কোম্পানির শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কেনাবেচা করে না।


স্টক এক্সচেঞ্জ এটি কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এর অধীনে নিবন্ধিত অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। শেয়ারবাজারের স্টক এক্সচেঞ্জের অনেক কাজ রয়েছে।


যদি কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ উল্লেখ করি তাহলে বলা যায় যে শেয়ারবাজারে কোম্পানির তালিকা ভক্তি করে থাকে, তালিকাভুক্ত করার সময় যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছিল সেসব শর্তগুলো মেনে চলছে কিনা তা যাচাই বাছাই করা।


সদস্যগণ ঠিক মতন সেসব শর্তগুলো মেনে চলছে কিনা তা খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা করা।বিনিয়োগকারীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করার।


পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির মধ্যে বিনিয়োগকারীদের যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।



ব্রোকার হাউজ কি?

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন ১৯৯৩ এর ধারা ১০ এর অধীনে পুঁজিবাজার থেকে সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয় করা সহ যাবতীয় কাজ করব করার জন্য এটি একটি অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান।


স্টক এক্সচেঞ্জ এর ট্রাক হোল্ডারদের রেগুলেশন ২০১৪ অনুসারে এটি পরিচালিত হয়। এটি গ্রাহকদের শেয়ারের ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে একটি নির্দিষ্ট কমিশনের মাধ্যমে। লেনদেনের সময় প্রতিটি ক্রেতা বিক্রেতার কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট ফি আদায়ের মাধ্যমে এই প্রকার হাউসগুলো পরিচালিত হয়।


শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে কত টাকা লাগবে?


শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার জন্য একটি বিও অ্যাকাউন্ট লাগে। যদি খুব সংক্ষেপে বিও একাউন্ট কি তার একটু পরিচয় দেই তাহলে এভাবে বলতে পারি, এমন একটি একাউন্ট যার মাধ্যমে কোন কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা করা যায়।


ব্যাংক একাউন্টে টাকা লেনদেন হয় ঠিক তেমনি বিও একাউন্ট এ শেয়ার লেনদেন হয়। সিডিবিএল বিও অ্যাকাউন্টের জন্য একটি নাম্বার দিয়ে থাকে।


ব্রোকার হাউজে একাউন্ট খুলতে আপনাকে সাহায্য করবে। অ্যাকাউন্টের জন্য নিজের পাসপোর্ট সাইজের ছবি নমিনির এনআইডি কার্ডের ফটোকপি এবং ব্যাংক একাউন্ট খুলতে আপনাকে 450 টাকা থেকে 600 টাকা খরচ করতে হতে পারে। এই টাকাটাই আপনার একটা এক-কালিন বিনিয়োগ এছাড়া রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য প্রতি বছর জুন মাসে 150 টাকা ফি দিতে হবে। 


শেয়ার বাজারে দুইভাবে টাকা বিনিয়োগ করা যায়। এক আইপিও মার্কেট বা প্রাইমারি মার্কেট নামে পরিচিত এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে সেকেন্ডারি মার্কেট


আমাদের দেশে প্রাইমারি মার্কেট মোটামুটি  ঝুঁকি না থাকায় অনেকেই শুধুমাত্র প্রাইমারি মার্কেটে বিনিয়োগ করে থাকে।


ভালো টাকায় গড়ে আইপিওর মাধ্যমে শেয়ারের জন্য আবেদন করতে আপনাকে 5000 থেকে 6000 টাকার বিনিয়োগ করতে হবে এখানে টাকার অংকটা ফিক্সট না।


অনেক কোম্পানি তাদের শেয়ার ফেসভ্যালু অর্থাৎ 10 টাকা দরে বিক্রি করেন আবার অনেক কোম্পানি প্রেমিয়াম নিয়ে থাকে। একটি বিও অ্যাকাউন্ট দিয়ে আপনি একটি কোম্পানির শেয়ারের জন্য আবেদন করতে পারবেন।


সেকেন্ডারি মার্কেটে কত টাকা কত টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন?


ন্যূনতম 20 হাজার টাকা দিয়ে আপনি শুরু করতে পারেন। আপনি চাইলে এর থেকে কম টাকা দশ হাজার 500 টাকা দিয়ে শুরু করতে পারবেন। কিন্তু তাতে লাভ লোকসান হিসাব টা ভালো জমবে না।


তবে আপনি যত টাকা বিনিয়োগ করতে চান না কেন তা যেন আপনার দরকারি টাকা না হয়। যেকোনো সময় শেয়ারের দাম বাড়তে পারে এবং কমতে পারে তাই দেখে শুনে আপনি কি ইনভেস্ট করতে হবে।


আইপিও কি ?

IPO বা আইপিও এর পূর্ণরুপ (Initial Public Offering) । লিমিটেড কোম্পানি সমূহ মূলধন সংগ্রহের জন্য প্রাইমারি মার্কেটে শেয়ার অফার করে, সর্বসাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সেই শেয়ার ক্রয়ের জন্য আবেদন করেন, এই প্রক্রিয়াকে আইপিও বলে

লটারির মাধ্যমে সফল আবেদনকারীদেরকে শেয়ার বিতরণ করা হয়। যার আবেদন সফল হয় না তার আবেদনের জন্য জমা দেয়া টাকা আবেদনকারীর বিও হিসাবে স্বয়ংক্রিয় ভাবে  ২ সপ্তাহের মধ্যে ফেরত দেয়া হয়।


কিভাবে আইপিওতে আবেদন করতে হয়?


যখন কোন কোম্পানি তাদের ব্যবসায়বৃদ্ধি করে মূলধারায় বা অন্য কোনো প্রয়োজনে কাজ করে সেই প্রক্রিয়াকে মূলত আইপিও বলতে পারি।

আইপিও আবেদনের জন্য প্রথমেই মিডওয়ে সিকিউরিটিজ লিমিটেডে আপনার একটি বিও হিসাব থাকতে হবে ।

সাধারণত আইপিও আবেদন করতে ৫,০০০/= টাকা (তবে ক্ষেত্রবিশেষে কম-বেশিও হতে পারে) বিও হিসাবে জমা রাখতে হয় ।

আইপিও লটারির পরে আবেদন সফল হলে নির্দিষ্ট সময় পরে বিও হিসাবে আইপিও শেয়ার এলটমেন্ট হয়ে যায়।

আবেদন সফল না হলে আবেদন ফি এর টাকা বিও একাউন্টে স্বয়ংক্রিয় ভাবে রিফান্ড হিসাবে ফেরত দেয়া হয়।


শেয়ার বাজার সম্পর্কে আমাদের ভুল ধারণা কি কি?

  • শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা আর জুয়া খেলা একই কথা।
  • শেয়ার মার্কেটে রাতারাতি বড়লোক হওয়া যায়।
  • বিনিয়োগ করতে কোন জ্ঞান লাগে না।
  • শেয়ারবাজার ধনী মানুষদের জন্য।
  • শেয়ারে দাম এখন বেশি কিন্তু দাম কমতে বাধ্য।
  • বেশি দাম মানেই ভালো শেয়ার আর কম দাম মানেই খারাপ শেয়ার।
  • শেয়ার মার্কেট টাকা খাটিয়ে দ্রুত লাভ করা যায়।
শেয়ারবাজার ধনী মানুষদের জন্য শেয়ার বাজার সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা রয়েছে তার মধ্যে এটি অন্যতম আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে শতকরা 70 ভাগ বিনিয়োগকারী খুবই কম টাকা দিয়ে শেয়ার বাজারে আসে।

বিনিয়োগ করতে কোন জ্ঞান লাগে না লাগে ভাগ্য অবস্থা যদি এমন হতো আমাদের দেশে এত মানুষ লোকের সম্মুখীন হত না তাই শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য জ্ঞানের বিকল্প নেই ।

শেয়ার বাজার এর শেয়ারের দাম যেহেতু কমবেশি হতে পারে সে তো আপনাকে বুঝে শুনে বিনিয়োগ করতে হবে। আর অবশ্যই বিনিয়োগের আগে বাজার যাচাই করে নিতে হবে।


সর্বনিম্ন কত গুলো শেয়ার কেনা? 


আপনি যতগুলো ইচ্ছা কতগুলো কিনতে পারবেন কোন একটি কোম্পানির একটি শেয়ার কিনতে চাইলে আপনি একটি শেয়ার কিনতে পারবেন মানে এখানে কোনো ধরাবাধা নিয়ম নেই। 



শেয়ার কেনার জন্য কোথায় টাকা জমা দিতে হবে?


শেয়ার কেনার আগে ব্রোকার হাউজের নগদ টাকা কিংবা চেক জমা দিতে হবে তারা আপনার একাউন্টে আপনার নির্ধারিত টাকা ঢুকিয়ে দেবে এবং আপনি যখন ইচ্ছা তখন শেয়ার কেনাবেচা করতে পারবেন।



টাকা উত্তোলনের সিস্টেম।

শেয়ার বিক্রি করার পরে সেই টাকা আপনার বিও একাউন্টে জমা হবে এবং আপনি আপনার ব্রোকার হাউজ এ গিয়ে কিংবা ফোনে অনলাইনে অর্ডার করতে পারবেন। আপনার টাকা যেন তারা আপনার ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়ে দেয়।


ব্রোকার হাউজের লাভ কোথায়?


যেহেতু ব্রোকার হাউজ আপনার  আপনার শেয়ার বেচাকেনার কাজ করবে এর জন্য একটি কমিশন নিয়ে নিবে। অনেক ব্রোকার হাউজ 40 পয়সার থেকে শুরু করে 60 পয়সা বা তার থেকে বেশি কমিশন কাটে ।


অর্থাৎ আপনি যদি এক লাখ টাকা আপনার শেয়ার কিনে এবং এর কমিশন তৈরি হয় 45 পয়সা তবে ব্রোকার হাউজ আপনার থেকে 450 টাকা কমিশন কাটবে। 



শেয়ারবাজারের সার্কিট ব্রেকার বলতে কী বোঝায়? 


শেয়ারবাজারে সার্কিট ব্রেকার একটি পরিচিত শব্দ। শেয়ারবাজারে একদিনে কোন একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম অনেক বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া প্রতিহত করার সিস্টেম কি সার্কিট ব্রেকার বলা হয় সার্কিট ব্রেকার ।


এর বাইরে কোন শেয়ারের দাম বাড়াতে পারবে না বা কমাতে পারবে না।



শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে মূল পেশা হিসাবে নেওয়া যাবে কিনা?


আমরা জানি মূল পেশা বলতে এখানে বোঝানো হয় যেখানে আপনার সবথেকে বেশি ইনকাম হয় এবং পেশার সাথে আপনার সকল খরচ হলো সংযুক্ত শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে মূল পেশা হিসেবে নেওয়া যেতে পারে।

তবে মূল পেশা হিসেবে না নেওয়ায় ভালো। এর থেকে ভালো আপনি কোন ব্যবসা করেন এবং তার পাশাপাশি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেন এতে আপনার দুদিক থেকেই লাভ হবে।

অন্যদিকে কোনো ব্যবসায়ী যদি আপনি লস করেন তাহলে অন্যটি দিয়ে সেটিকে পুষিয়ে নিতে পারবেন।

শেয়ার বাজারে কতগুলো ক্যাটাগরির শেয়ার রয়েছে? | পর্ব - ২

র্টিকেলটি পড়ে শেয়ার বাজার সম্পর্কে ধারণা পেলে আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন এবং কোথাও বুঝতে সমস্যা হলে নিচে কমেন্ট করে জানাবেন, আপনারা কি ধরনের আর্টিকেল পড়তে চান কোমেন্টে জানাবেন। সবাইকে ধন্যবাদ। 
আমাদের সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

হোম এ ফিরে যেতে এখানে ক্লিক করুন
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post